সুলি প্রুদোম |
সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন ফরাসি কবি এবং প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম। জন্ম ১৮৩৯ সালে এবং মৃত্যু ১৯০৭ সালে। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান ১৯০১ সালে। সুলি প্রুদোম একাধারে একজন কবি এবং প্রাবন্ধিক। সুলি প্রুদোমের কবিতা চরম হতাশাগ্রস্ত মানুষকে শেখাতে পারে, আনন্দ বা সুখ আসে যন্ত্রণা, আত্মত্যাগ ও ভালবাসার পথ ধরেই।
পড়াশোনা জীবনে মেধাবী সুলি গণিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মজীবনে প্যারিসের এক নোটারি অফিসে চাকরি নেন তিনি। সারাদিন অফিসের কাজ শেষে রাতে কবিতা লিখতেন। কিন্তু শুধু কবিতা লিখে মানসিক স্বস্তি পাননি। একই সাথে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে উৎসাহী হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রেও স্বস্তির সন্ধান পাননি। ঈশ্বর সম্বন্ধে কোন ধর্মের ব্যাখ্যাই তার মনঃপুত হয়নি।
স্যুলির কবিতার বিষয়বস্তু বেশ জটিল। জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা তার কবিতায় পরিস্ফুটিত ছিল। এতে বিশেষ স্থান ছিল অচেনা বাস্তব ও চেনা অভিজ্ঞতার।
কবিতা তার জীবনের ধ্যান জ্ঞান। তিনি মূলত একজন কবি। ফরাসি ভাষায় লেখা তার উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো:-
* Stances et poèmes
* Les épreuves,
* Les solitudes: poésies
* Les destins
* La France
* Les vaines tendresses
* Le bonheur
* Épaves
“স্যুলি প্র্যুদমের কবিতা চরম হতাশাগ্রস্ত মানুষকে শেখাতে পারে, আনন্দ বা সুখ আসে যন্ত্রণা, আত্মত্যাগ ও ভালবাসার পথ ধরেই।”
তাঁর জীবনের শেষ রচনা ছিল লা প্সিকোলোজি দ্যু লিব্র-আর্বিত্র (La Psychologie du Libre-Arbitre, "স্বাধীন ইচ্ছার মনস্তত্ত্ব") যা ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে প্যারিসের দক্ষিণে অবস্থিত নিজ বাসভবন "শাতনে মালাব্রি" (Chatenay Malabry)-তে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূর্বে নোবেল পুরস্কার থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ দিয়ে একটি অনুদানমূলক পুরস্কারের ব্যবস্থা করে যান। এটি নবীন লেখকদের উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রদান করা হয়। এখনও ফ্রান্সে এই পুরস্কারের রীতি চালু আছে।
তার জীবনকে বুঝতে হলে তার লেখা প্রবন্ধ পাঠ জরুরি। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলি:-
* Œuvres de Sully Prudhomme
* Que sais-je
* Testament poétique
কোটি পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে আছেন সুলি প্রুদোম, তার লেখা সাহিত্য কর্ম বিশ্বজুড়ে পাঠিত হয়। সাহিত্যে তার লেখা কবিতা সকল হতাশাগ্রস্ত মানুষদের বাঁচতে শেখায়।