তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ। "
দারুণ মুগ্ধতা আর প্রচণ্ড ভালোলাগা নিয়ে একেকটা ভালোবাসার গল্প শুরু হয়। একটা প্রচণ্ড ঘোরের মধ্যে আটকা পড়ে দুটো মানুষ, দেখে সহস্র স্বপ্ন। প্রতিদিন একটু একটু করে এই স্বপ্নগুলো তৈরি হতে থাকে নিজের অজান্তে। মানুষতো স্বপ্নেই বাঁচে। কিন্তু একটা কষ্টকর সত্যি হলো- এই প্রচণ্ড ভালোবাসাটাই একদিন আমাদের কে বড্ড বেশি অসহায় করে ফেলে। স্বপ্নগুলোকে চোখের সামনে যারা বিলীন হতে দেখেছে এর অনুভূতি কেবল তারাই উপলব্ধি করতে পারে। আর কেউ না। চোখের সামনে ভালোবাসার মানুষ কে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা যে কতটা তীব্র, সেই অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা আজও করো জানা নেই। আমরা মানুষ হারাই, কিন্তু স্মৃতি হারাই না।
অসম্ভব এক মুগ্ধতার অনুভূতি নিয়ে শেষ করলাম নিমাই ভট্টাচার্যের “মেমসাহেব” উপন্যাসটি। এক কথায় অসাধারণ এই উপন্যাসটি। পুরোটা সময় জুড়ে এক ঘোরের ভিতরে ছিলাম আমি, এতটাই ভালো লেগেছে। লেখকের লেখনী প্রতিনিয়ত গল্পের কাহিনি আর চরিত্রগুলোকে কয়েক ধাপ উপরে নিয়ে যাচ্ছিল। পড়তে পড়তে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর প্রতি একটা অন্যরকম এক্সপেকটেশন তৈরি হচ্ছিল এবং লেখক সেই এক্সপেকটেশন যথার্থ ভাবেই পূরণ করেছে।
শেষের কয়েক পাতা আমি টানা পড়তে পারিনি। নিজের অজান্তেই চোখ ভিজে যাচ্ছিল। তাই বার বার বিরতি নিয়ে পড়েছি। পুরো বইটা যেভাবে বিরতিহীন ভাবে পড়ছিলাম, কিন্তু শেষের দিকে এসে বার বার আটকে যাচ্ছিলাম
বই: মেমসাহেব
লেখক: নিমাই ভট্টাচার্য
পাঠ প্রতিক্রিয়া : সাদিয়া ইসলাম তৃষা