বাংলা সন এলো যেভাবে
সুদীর্ঘ কাল ধরে এই অঞ্চলের মানুষ হিজরি সনকে অনুসরণ করে এসেছে। সম্রাট আকবরের আগ পর্যন্ত হিজরি সনই ছিল দিন গণনা এবং দাপ্তরিক কাজকর্মের একমাত্র মাধ্যম। হিজরি সন গণনা করা হয় বারো চান্দের উপর ভিত্তি করে। তবে কৃষিপ্রধাণ এ অঞ্চলে চান্দ্রমাসভিত্তিক মাস গণনায় বেশ সমস্যা দেখা দিতো। যেমন এ সনের মাসগুলো কোনো নির্দিষ্ট ঋতুতে স্থির থাকে না। এতে বছরে ১১ দিন সময় কমে যেত। এক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়তেন কৃষকগণ। ফসল উৎপাদনে ঋতুর বিভাজন যেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়, সেখানে ঋতু নির্ধারণ করাই হয়ে পড়তো জটিল ব্যাপার। উপরন্তু খাজনা প্রদানেও পড়তে হতো বিপাকে। কৃষকরা সাধারণত বৈশাখ মাসে শস্যাদি বাজারজাত করতেন। প্রায় সময় কৃষকরা উৎপাদিত ফসল খেয়ে ফেলার পরে সরকার খাজনা নিতে আসত। তাখন মানুষের হাতে না থাকত ফসল, না থাকত অর্থ। ফলে প্রজাগণ যেমন পড়তেন বিপদে তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায় ও হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণেও সৃষ্টি হতো বেশ জটিলতা। এ সমস্যা নিরসনে সম্রাট আকবার হিজরি এবং চান্দ্রবর্ষের সমন্বয়ে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক নতুন সালের প্রবর্তন করেন। সভাসদ আবুল ফজল এবং অর্থমন্ত্রী রাজা তোডর মলের পরামর্শে সম্রাট কঠিন এ কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব নাস্ত করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতেউল্লা সিরাজির ওপর।
যেভাবে হল বাংলা মাসগুলির নামাকরণ
প্রথমদিকে বাংলা মাসের নামকরণ করা হয়েছিলো ছিল ফারওয়ারদিন, খোরদাদ, তীর, মুরদাদ, শাহরিয়ার, আবান, আযার, দে, বাহমান ইত্যাদি। পরে নাক্ষত্রিক নিয়মে নক্ষত্রের নামের সাথে মিল রেখে নামকরণ করা হয়।
বৈশাখ: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ মাসের নামকরণ হয়েছে। এটি বাংলাসনের প্রথম মাস।
জৈষ্ঠ: জেষ্ঠা নক্ষত্র থেকে এই মাসের নামকরণ হয়েছে। জৈষ্ঠ মাসে ভীষণ গরম পড়ে।
আষাঢ়: আষাঢ় মাসের নাম এসেছে অষধা নক্ষত্র থেকে। এসম্য প্রচুর বৃষ্টি হয়।
শ্রাবণ: এই সময়ের পূর্ণিমায় চাঁদ শ্রবণা নক্ষত্রের কক্ষপথে অবস্থান করে। শ্রবণা নক্ষত্র থেকেই এ মাসের নাম রাখা হয়েছে। এ মাসে সারাদিন বৃষ্টি ঝরতে থাকে।
ভাদ্র: ভদ্রা নক্ষত্রের নাম থেকে এসেছে ভাদ্র। ভাদ্রে শুভ্র কাশ ফুল ফোটে।
আশ্বিন: অশ্বিনী নক্ষত্রের কক্ষপথে এই সময় চাঁদ অবস্থান করে। তাই এ মাসের নাম আশ্বিন। আশ্বিন পূজা-পার্বণের জন্য বিখ্যাত।
কার্তিক: কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম হয়েছে কার্তিক। এ মাসে নানা রঙ্গে সাজে প্রকৃতি।
অগ্রহায়ণ: এই সময় চাঁদ মৃগশিরা নক্ষত্রের কক্ষপথে অবস্থান করে। এই নক্ষত্রের অপর নাম অগ্রহায়ণী। অগ্রহায়ণী থেকে এই মাসের নাম রাখা হয়েছে অগ্রহায়ণ।
পৌষ: পুষ্যা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম হয়েছে পৌষ।
মাঘ: মঘা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম রাখা হয়েছে মাঘ।
ফাল্গুন: ফাল্গুনী নক্ষত্রের নামানুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে।
চৈত্র: বছরের শেষ এ মাসের নাম এসেছে চিত্রা নক্ষত্র থেকে। এ মাসের শেষের দিকে থাকে বর্ষ বিদায়ের হরেক আয়োজন।
সুদীর্ঘ কাল ধরে এই অঞ্চলের মানুষ হিজরি সনকে অনুসরণ করে এসেছে। সম্রাট আকবরের আগ পর্যন্ত হিজরি সনই ছিল দিন গণনা এবং দাপ্তরিক কাজকর্মের একমাত্র মাধ্যম। হিজরি সন গণনা করা হয় বারো চান্দের উপর ভিত্তি করে। তবে কৃষিপ্রধাণ এ অঞ্চলে চান্দ্রমাসভিত্তিক মাস গণনায় বেশ সমস্যা দেখা দিতো। যেমন এ সনের মাসগুলো কোনো নির্দিষ্ট ঋতুতে স্থির থাকে না। এতে বছরে ১১ দিন সময় কমে যেত। এক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়তেন কৃষকগণ। ফসল উৎপাদনে ঋতুর বিভাজন যেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়, সেখানে ঋতু নির্ধারণ করাই হয়ে পড়তো জটিল ব্যাপার। উপরন্তু খাজনা প্রদানেও পড়তে হতো বিপাকে। কৃষকরা সাধারণত বৈশাখ মাসে শস্যাদি বাজারজাত করতেন। প্রায় সময় কৃষকরা উৎপাদিত ফসল খেয়ে ফেলার পরে সরকার খাজনা নিতে আসত। তাখন মানুষের হাতে না থাকত ফসল, না থাকত অর্থ। ফলে প্রজাগণ যেমন পড়তেন বিপদে তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায় ও হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণেও সৃষ্টি হতো বেশ জটিলতা। এ সমস্যা নিরসনে সম্রাট আকবার হিজরি এবং চান্দ্রবর্ষের সমন্বয়ে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক নতুন সালের প্রবর্তন করেন। সভাসদ আবুল ফজল এবং অর্থমন্ত্রী রাজা তোডর মলের পরামর্শে সম্রাট কঠিন এ কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব নাস্ত করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতেউল্লা সিরাজির ওপর।
যেভাবে হল বাংলা মাসগুলির নামাকরণ
প্রথমদিকে বাংলা মাসের নামকরণ করা হয়েছিলো ছিল ফারওয়ারদিন, খোরদাদ, তীর, মুরদাদ, শাহরিয়ার, আবান, আযার, দে, বাহমান ইত্যাদি। পরে নাক্ষত্রিক নিয়মে নক্ষত্রের নামের সাথে মিল রেখে নামকরণ করা হয়।
বৈশাখ: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ মাসের নামকরণ হয়েছে। এটি বাংলাসনের প্রথম মাস।
জৈষ্ঠ: জেষ্ঠা নক্ষত্র থেকে এই মাসের নামকরণ হয়েছে। জৈষ্ঠ মাসে ভীষণ গরম পড়ে।
আষাঢ়: আষাঢ় মাসের নাম এসেছে অষধা নক্ষত্র থেকে। এসম্য প্রচুর বৃষ্টি হয়।
শ্রাবণ: এই সময়ের পূর্ণিমায় চাঁদ শ্রবণা নক্ষত্রের কক্ষপথে অবস্থান করে। শ্রবণা নক্ষত্র থেকেই এ মাসের নাম রাখা হয়েছে। এ মাসে সারাদিন বৃষ্টি ঝরতে থাকে।
ভাদ্র: ভদ্রা নক্ষত্রের নাম থেকে এসেছে ভাদ্র। ভাদ্রে শুভ্র কাশ ফুল ফোটে।
আশ্বিন: অশ্বিনী নক্ষত্রের কক্ষপথে এই সময় চাঁদ অবস্থান করে। তাই এ মাসের নাম আশ্বিন। আশ্বিন পূজা-পার্বণের জন্য বিখ্যাত।
কার্তিক: কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম হয়েছে কার্তিক। এ মাসে নানা রঙ্গে সাজে প্রকৃতি।
অগ্রহায়ণ: এই সময় চাঁদ মৃগশিরা নক্ষত্রের কক্ষপথে অবস্থান করে। এই নক্ষত্রের অপর নাম অগ্রহায়ণী। অগ্রহায়ণী থেকে এই মাসের নাম রাখা হয়েছে অগ্রহায়ণ।
পৌষ: পুষ্যা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম হয়েছে পৌষ।
মাঘ: মঘা নক্ষত্রের নাম থেকে এই মাসের নাম রাখা হয়েছে মাঘ।
ফাল্গুন: ফাল্গুনী নক্ষত্রের নামানুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে।
চৈত্র: বছরের শেষ এ মাসের নাম এসেছে চিত্রা নক্ষত্র থেকে। এ মাসের শেষের দিকে থাকে বর্ষ বিদায়ের হরেক আয়োজন।