আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা 'অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’
আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটায় এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির পর এবারই প্রথম সশরীরে উপস্থিত থাকবেন তিনি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করার পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
সময়সূচি
ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টার পর মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
শিশুপ্রহর ও শিশুচত্বর
বিগত বছরের তুলনায় এবার বাড়ছে শিশুচত্বরের পরিধি। মন্দির গেট দিয়ে ঢুকে হাতের ডান দিকে বড় পরিসরে সাজানো হয়েছে চত্বরটি। শিশুকিশোরদের জন্য প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত 'শিশুপ্রহর'। এছাড়াও থাকছে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতা।
লিটলম্যাগ চত্বরের স্থান পরিবর্তন
এবছর লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চের কাছেই পাওয়া যাবে লিটলম্যাগের পসরা। সেখানে থাকছে ১৫৩টি স্টল। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনে ৫টি উন্মুক্ত স্থানে লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রবেশপথ
এবার মেলায় প্রবেশের মূল গেট হিসাবে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটিকে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে দিয়ে মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে।
স্টল সংখ্যা
এবার বইমেলার ১১ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে আয়োজিত বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকছে ৩৮টি প্যাভিলিয়ন।